এই পৃথিবীতে মানুষ যা কিছু করে, তা কেবল নিজের জন্যই। এটা নিয়ে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে। আমি অন্যের মতামতের প্রতি পূর্নাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখেই নিজের অভিজ্ঞতাটুকু এবং মতামতটুকু শেয়ার করতে চাই।
মানুষ যা কিছু করে, তা কেবল নিজের আনন্দের জন্য, নিজের মানসিক শান্তির জন্য, নিজের দায়বদ্ধতা পূরণের জন্য, নিজের দায়িত্ববোধকে সম্মানজনক একটা জায়গায় নেওয়ার জন্যই করে।
আমাকে যদি কেউ ভালোবাসে, এটা সে আমাকে ভালোবাসার জন্য যত’টা ভালোবাসে, তারচেয়ে বেশি ভালোবাসে তার নিজের জন্য। আমি যাকে ভালোবাসি, তার জন্য বাসি না। আমি তাকে ভালোবাসি আমার নিজের জন্য। তাকে ভালোবাসতে ভাল লাগে, তাই বাসি। তার যত্ন নিতে আমার ভাল লাগে, তাই যত্ন নিই। তার হাসি মাখা মুখ দেখলে, নিজের মুখে হাসি ফুটে, তাই তার হাসির কারন হই।
মূলত, আমি তাদের আনন্দেই আনন্দিত হই, যাদের আমি পছন্দ করি। যাদের আমি পছন্দ করিনা কিংবা যাদের সাথে আমি মানসিক ভাবে কানেক্টেড নই, তাদের হাসি কান্না আমার জীবনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা।
এই পৃথিবীতে প্রতিটা মৃত্যুই আপনার নিজের কাছে সমান ব্যথা নিয়ে আসেনা। অল্প কিছু মৃত্যুই কেবল আপনার চোখ ভেজাতে সক্ষম। কেবল তাদের মৃত্যুতেই আপনি ব্যথা পান, যাদের বেঁচে থাকায় আপনার মন প্রাণে এক ধরনের আনন্দের উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়। যাদের অস্তিত্ব আপনার জীবনে অনেক বেশি জায়গা দখল করে আছে।
আমাকে একজন বললো, মা বাবার ভালোবাসাই কেবল নিঃস্বার্থ!
এটাও কি আসলে একেবারেই নিঃস্বার্থ?